BLOG: A Ghanada Forecast

প্রেমেন্দ্র মিত্র সৃষ্ট ঘনাদা, শিল্পী : অজিত গুপ্ত ।

[ধরুন আসছে-কাল । বলছি না কোন্ সাল । মৃত ছাপা বুক । ফেসবুকও নেই আর ।
‘এফ বি’ তকমা ‘ফিউচার বং’ করেন ব্যবহার ।
ওয়েবসাইট তবু রয়ে গেছে কিছু লুপ্ত বাংলা ভাষে ।
অতীত বাঙালি দাঁড়ান বুঝি ‘ফিউচার বং’-পাশে ।
‘ডস’ = ঘনশ্যাম দাস । ‘পি বি’ = পূজাবার্ষিকী ।
এবার পড়ুন দিকি ।]

(কুতূহলী ‘এফ বি’ সে এক, সঙ্গে যন্ত্র –টীচার ।
‘বং’-কে বাংলা শিখিয়ে থাকেন, নাম ‘বংটারপ্রেটার’ ।)

ফিউচার বং [এফ বি] ।। ময়ে আ, ইয়-এ আ …

বংটারপ্রেটার ।। ধুর ! এই পি বি-টার নাম ‘মায়া-মুকুর’১ ।
নিচে স্ক্রোল করে নিজে পড় দেখি কে এডিটর ।

ফিউচার বং ।। লেটার, বংটারপ্রেটার । মাস্টারি তোর থামা ।
বেরোয় এটাতে ঘনাদা-র কারনামা ?

বংটারপ্রেটার ।। ‘মায়া-মুকুর’-এর সালটায় দে না দৃষ্টি ।
এরও পাঁচটি বছর বাদে ঘনশ্যাম-এর সৃষ্টি২ ।

ফিউচার বং ।। তাহলে আছেটা কী ? প্রেম…

বংটারপ্রেটার ।। শেম ! কিশোর পি বি-তে লাভ স্টোরি ? কী রিসার্চ আহা মরি মরি ।

ফিউচার বং ।। উফ, প্রেম নয় … মানে ক্রিয়েটর অফ ডস ।

বংটারপ্রেটার ।। প্রেমেন্দ্র মিত্র, boss ! তাঁরই পদ্য পয়লা পাতায় ।
“এই মুকুরে সত্য দেখায়
স্বপন-মধুর,
তবু দিশা মিলবে তাহার
– যে পথ সুদূর ।”

ফিউচার বং ।। এতেও বাজছে সায়েন্স ফিকশন-সুর । আজকে যা ড্রিম, সত্যি হবে তা কাল ।

বংটারপ্রেটার ।। বাঃ ! বুদ্ধির টাঁকশাল । … করো সবুর । মিত্র মশায়ের কাহিনিও আছে মামাবাবু-র ।

ফিউচার বং ।। অভিযাত্রী চরিত্র সেই ? বৈজ্ঞানিক ?

বংটারপ্রেটার ।। ঠিক ।

ফিউচার বং ।। নাদুসনুদুস ।

বংটারপ্রেটার ।। ঘুম পছন্দ ।

ফিউচার বং ।। ছবি এঁকেছেন প্রতুল বন্দ্যো৩ । উপন্যাসের নামটি বেদম টাফ !

বংটারপ্রেটার ।। ‘উপত্যকার অভিশাপ’৪ ।
‘হাঁস’৫-এর আগেই এসে গেছে এতে বিগড়ি-র বিবরণ ।
থীমেও কিন্তু ঘনশ্যাম-এর ধরন । সায়েন্সের অপব্যবহার ।
‘মায়া-মুকুর’ ভর্তি ঘনাদা-মশলার সমাহার । …

‘গোয়েন্দা ও গুপ্তচর’ । এই লেখাটাই ধর ।
স্পাইগিরি টেকনিক । অল বৈজ্ঞানিক ।
বাঁধানো দাঁতের পাটিতে লুকিয়ে গুপ্ত খবর লীক ।

ফিউচার বং ।। ঘ্যাম ! ঘনশ্যাম-এর ফলস টীথ-এ ছিল ক্যাম ।

কার লেখা অধ্যায় ?

বংটারপ্রেটার ।। বিশু মুখোপাধ্যায় । …
‘ছুঁচ’৬ ইয়াদ আছে তোর ?

ফিউচার বং ।। শিওর ।
একটি পিপেট ভর্তি ছিল অ্যানিমোন উজ্জ্বল ।
তাই দিয়ে ডস রক্ত-রাঙা করেন নদীর জল ।

বংটারপ্রেটার ।। ঐ আলো-দানকারী প্রাণী নিয়ে আছে আর্টিকল ।

ফিউচার বং ।। ইনক্ল্যুডিং ক্রীচার্স অফ দ্য ডীপ ?

বংটারপ্রেটার ।। ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ-এর ‘জীবন্ত প্রদীপ’ ।

ফিউচার বং ।। টেরিফিক ! এত লেখার ভিত্তি সায়েন্টিফিক !

বংটারপ্রেটার ।। তাই ‘মায়া-মুকুর’-এর সম্পাদক কে জানা দরকার ।

ফিউচার বং ।। কে ?

বংটারপ্রেটার ।। থাক্ । এদিকে নজর দে ।

‘চীনের চালাকী’ । বাই পি সি সরকার ।
দেবমূর্তিকে কথা বলানোর ম্যাজিক ।

ফিউচার বং ।। ফুঃ । ভেন্ট্রিলোকুইজম ডস-এর পুরনো ট্রিক ।

বংটারপ্রেটার ।। আর শোন্ । এই হচ্ছে ‘মায়া-মুকুর’-এর খাঁটি স্পিরিট –

ফিউচার বং ।। এক মিনিট । বললি না তো এডিটর কে ? হুডানিট ?

বংটারপ্রেটার ।। “আপনারে কভু ভেবো না ক্ষুদ্র, ভাবিও না দীন তুমি,
তুমি নিতে পার জয় করিয়া এ বিপুল বিশ্বভূমি ।”

ডাক দেন নজরুল । বিকশিত হোক পরাধীন দেশে না-ফোটা সব ফুল ।

ফিউচার বং ।। ঘনাদা-কেও একই লক্ষ্যে সৃষ্টি করা নয় তো ?

বংটারপ্রেটার ।। প্রচ্ছন্নভাবে হয়ত । …

এই মেজাজেই কলম ধরেন ধীরেন্দ্রলাল ধর ।
‘ভারতবাসী ভীরু নয়’ । লক্ষ্য কর –
“নিজেকে ধুপের মত জ্বালিয়ে অপরকে গন্ধদান করাই ভারতের আদর্শ ।”

ফিউচার বং ।। সব কিছুতেই পাচ্ছি আজকে ঘনশ্যাম-এর স্পর্শ । দেশের জন্য, দশের জন্য –

বংটারপ্রেটার ।। ডস ! ধর মশায়ের এই গল্পে, দিয়ে নিজের জান, সাবমেরিন-ভর্তি সাহেব, একজন বাঁচান । মানুষটি এদেশি ।

ফিউচার বং ।। ঘনাদা-ও তো তাই করেছেন উইথ আ লিটল ‘শিশি’৭ ! …
তাহলে এই বুঝি – বিজ্ঞান-গলিঘুঁজি, গুপ্তচরের গুপ্তকথা, সায়েন্টিফিক জাদু – সেই কালের কিশোরদের কাছেও সুস্বাদু ।

বংটারপ্রেটার ।। ফ্রম হেমেন রায় টু প্রেমেন – লেখক দিতেন এই সাবধান-বার্তা তার সাথে : বিজ্ঞান যেন অস্ত্র না হয় ধ্বংসকামীর হাতে ।

ফিউচার বং ।। শৃঙ্খলিত শিশু দেখত মায়া-মুকুরে মুক্তি – নই কমজোর, আমার রয়েছে শীর্ষ জয়ের শক্তি ।

বংটারপ্রেটার ।। সমকালের জ্ঞান-দর্শন, স্বদেশীয় সব ট্রেন্ড, গুলে গিয়ে শেষে ঘনাদা-য় হল ব্লেন্ড ।

ফিউচার বং ।। কিন্তু প্রমাণ চাইবে লোকে । ছোটদের এসব লেখাপত্তর পড়ত কি তাঁর চোখে ?

বংটারপ্রেটার ।। কার ?

ফিউচার বং ।। ডস-এর ক্রিয়েটর ।

বংটারপ্রেটার ।। হুম …

আরও একটি ‘বৈজ্ঞানিকী’ ‘মায়া-মুকুর’-এর পাতায় । লেখক বিমল ঘোষ । নাম শুনলেই বাজবে ঘণ্টি মাথায় ।

ফিউচার বং ।। পি ও ক-এ আ-কার … পড়ে দাও না হাতি !

বংটারপ্রেটার ।। ‘পোকা-মাকড়ের যন্ত্রপাতি’ ।
যত পতঙ্গ আর কীট, প্রাকৃ্তিক গ্যাজেট তাদের গায়েই থাকে ফিট । কিছু বলছে মেমারি ?

ফিউচার বং ।। মশক-মুখে বসানো সেই বাক্স ডাক্তারি !

বংটারপ্রেটার ।। দ্যাটস বেটার ।

ফিউচার বং ।। বংটারপ্রেটার ! এটাও লেখা বিফোর ‘মশা’২ ?

বংটারপ্রেটার ।। বছর পাঁচেক পূর্বে । তোর মিথ্যে পি বি চষা ! মিলিয়ে দেখ না সাল ।

ফিউচার বং ।। অর্থাৎ কিনা ভুঁইফোঁড় নন, ঘনাদা হলেন ফসল আপন কালের ।

বংটারপ্রেটার ।। আবার ঘড়ি-ঘেরাটোপ টপকে, এক্কেবারে হালের । এফ বি, এবার আসি । সাইন আউট করলাম ।

ফিউচার বং ।। বাই বাই … আরে থাম্ ! বললি না তো ‘মায়া-মুকুর’-এর এডিটর-এর নাম ?

বংটারপ্রেটার ।। স্ক্রোল আপ করে নিজেই নিস পড়ে । সী ইউ আগেন ।

ফিউচার বং ।। প-য়ে র-ফলা এ ম-য়ে এ-কার এন …

১ ‘মায়া-মুকুর’, দেব সাহিত্য কুটীর পূজাবার্ষিকী (১৯৪০) ।
২ প্রেমেন্দ্র মিত্র-র ঘনশ্যাম দাস বা ঘনাদা-র প্রথম গল্প ‘মশা’ (১৯৪৫) ।
৩ চিত্রকর তথা ‘মায়া-মুকুর’-এর প্রচ্ছদ ও অলংকরণ শিল্পী প্রতুল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৩ – ১৯৭৪) ।
৪ প্রেমেন্দ্র মিত্র-র মামাবাবু সিরিজের দ্বিতীয় কাহিনি । গ্রন্থ নাম ‘ড্র্যাগনের নিশ্বাস’ (১৯৪৮) ।
৫ ঘনাদা-র গল্প ‘হাঁস’ (১৯৫৭) ।
৬ ঘনাদা-র গল্প ‘ছুঁচ’ (১৯৬৩ পূর্ববর্তী) ।
৭ ঘনাদা-র গল্প ‘শিশি’ (১৯৫৯) ।
৮ ‘ঘনাদা গ্যালারি’ ওয়েবসাইট : http://ghanada.wix.com/ghanada-gallery